ম্যাক্রো ইকোনোমিকসের মৌলিক বিষয়গুলি হল এমন যা একটি দেশের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে, যার মধ্যে বেকারত্ব, চাহিদা ও যোগান, প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান, সেইসাথে আর্থিক বা রাজস্ব নীতি ও বাজেট এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত।
এই বিষয়গুলোকে সামগ্রিকভাবে একটি বৃহৎপরিসরে দেশের অর্থনীতির বিশ্লেষণে প্রয়োগ করা যেতে পারে যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন প্রকার ব্যাবসায়ের উন্নতি বা অবনতিতে ভূমিকা রাখে।
মাইক্রো ইকোনমিকসের মৌলিক বিষয়গুলি অর্থনীতির ক্ষুদ্র অংশকে প্রভাবিত করে,যেমন কোন একটি নির্দিষ্ট বাজার বা সেক্টর। কোন নির্দিষ্ট শ্রেনীর পন্যের ভোক্তা ও উৎপাদনের চাহিদা ও যোগান, মজুরিসহ বিভিন্ন বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত।
ভোক্তারা তাদের নির্দিষ্ট ও সীমাবদ্ধ বাজেটের ভিতর কতটুকু এ খাতে ব্যায়ে ইচ্ছুক ও উৎপাদক তার বিদ্যমান ব্যবসায়িক নীতি ও মুনাফার লক্ষ্যে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও বাজারে প্রভাব বিস্তার করে। যেমনঃ পেঁয়াজের আমদানি যদি বাধাগ্রস্থ হয় তবে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
তখন দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদকগণ চাইলে অতিমুনাফায় তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রয় করতে পারেন অথবা ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহ করে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারে।
এই বিশ্লেষন পদ্ধতি অর্থনৈতিক চক্র বা বাজার চক্রের উপর ফোকাস করে না বরং একটি নির্দিষ্ট সেক্টর বা শিল্পের মধ্য থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ কোম্পানীটিকে খুজে বের করতে সহায়তা করে। যেমন ধরা যাক বাংলাদেশের পুঁজি বাজারে ব্যাংক, বীমা, ঔষুধখাত, আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ প্রভৃতি খাত রয়েছে। এর মধ্য থেকে আপনাকে ফিল্টারিং করতে হবে-
▶️ পন্য ও সেবা অনুসারে,
▶️ যাত্রার গতি ও পথের অবস্থান- তথা উদীয়মান শিল্প খাত বা ক্রম বর্ধমান শিল্পখাত, ক্ষয়িষ্ণু শিল্প খাত,
▶️ প্রতিযোগিতার দক্ষতা, ৪/ পন্যের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষন করে।
এই পদ্ধতির অধীনে আছে-
▶️ কোম্পানীর আয়-ব্যয়ের হিসাব বিশ্লেষন- তথা মূলধনের সংগে ঋণের তুলনামূলক হার বা লিভারেজ, ট্রেন্ড ও বিভিন্ন অনুপাত বিশ্লেষন তথা তারল্য বিশ্লেষন, ঝুঁকি বিশ্লেষন, ক্যাশ ফ্লো বা নগদ প্রবাহ বিশ্লেষন, পরিচলন সংক্রান্ত রেশিও, কোম্পানী ভ্যালুয়েশন (ইপিএস, ডিভিডেন্ড ইল্ড, পি.ই রেশিও, ন্যাভ বা শেয়ার প্রতি সম্পদ) ইত্যাদি,
▶️ ব্যালেন্স শীট বিশ্লেষন,
▶️ পন্যের গুনগত বিশ্লেষন,
▶️ শেয়ারের তারল্য,
▶️ ক্রয়-বিক্রয়ের সময়,
▶️ কোম্পানীর অবস্থার ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি।
▶️ কোম্পানীর গঠনপ্রনালী ও রাজস্ব বা আয়
▶️ বিগত বছরগুলোতে কোম্পানীর আয়
▶️ বিগত বছরগুলোতে কোম্পানীর আয়ের ধারাবাহিকতা
▶️ কোম্পানীর ঋণের পরিমান
▶️ কর্পোরেট গভার্নেন্স বা কর্পোরেট সুশাসন
▶️ টার্নওভারের হার