পরিকল্পিত বিনিয়োগে আপনি সহজেই কর রেয়াত পেতে পারেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর রেয়াতযোগ্য খাতসমূহে বিনিয়োগে আপনি সহজেই কর রেয়াত পেতে পারেন।
সরকার কর দাতাদের কিছু কিছু বিনিয়োগ এবং দানে উৎসাহিত করার জন্য ঐ সমস্ত বিনিয়োগ এবং দানের উপর কর রেয়াত/কর ছাড় দিয়ে থাকে।
১,০০,০০,০০ টাকা অথবা মোট করযোগ্য আয়ের ৩% অথবা মোট প্রকৃত বিনিয়োগের ১৫% - এই তিন এর মধ্যে যেটি ছোট সেটি তার জন্য কর রেয়াত, যা তার মোট প্রদেয় আয়কর হতে বাদ যাবে।
আপনি আপনার প্রদর্শিত আয়ের কিছু অংশ উক্ত অর্থবছরে বিশেষ কিছু খাতে যেমন - ভবিষ্যৎ তহবিল, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, জীবন-বীমা ইত্যাদি কিছু খাতে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত সুবিধা পাবেন, মানে সেই পরিমাণ টাকা আপনার কর থেকে বাদ যাবে।
এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, বিনিয়োগকারী বা দানশীল করদাতার মোট বিনিয়োগ ও দানের বিপরীতে বিভিন্ন খাতের সর্বোচ্চ সীমা অনুযায়ী করছাড় মিলবে।
একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করতে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময় যথাযথভাবে হিসাব-নিকাশ করে এমন সুযোগ গ্রহণ করা যাবে।
বিনিয়োগযোগ্য খাতসমূহ
▶️ বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার (কর রেয়াতের কোনো ঊর্ধ্ব সীমা নেই)
▶️ মিউচুয়াল ফান্ড/ইউনিট ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ (কর রেয়াতের সর্বোচ্চ সীমা - ৫,০০,০০০ টাকা)
▶️ যে কোন তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) বিনিয়োগ (কর রেয়াতের সর্বোচ্চ
সীমা - ১,২০,০০০ টাকা)
▶️ সরকারি সিকিউরিটিজ (সঞ্চয়পত্র, টি-বন্ড/বিল, ইত্যাদি) ক্রয়ে বিনিয়োগ (কর রেয়াতের সর্বোচ্চ সীমা - ৫,০০,০০০ টাকা)
▶️ জীবন বীমার প্রিমিয়াম (কর রেয়াতের সর্বোচ্চ সীমা জীবন পলিসি মূল্যের ১০% পর্যন্ত)
দান ও চাঁদা প্রদানের খাতসমূহ
▶️ সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা
▶️ স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা
▶️ কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা
▶️ সুপার এ্যানুয়েশন ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা
▶️ জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান
▶️ যাকাত তহবিলে দান
▶️ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন দাতব্য হাসপাতালে দান
▶️ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান
▶️ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান
▶️ আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান
▶️ আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান
▶️ ICDDR’B তে প্রদত্ত দান
▶️ CRP, সাভার এ প্রদত্ত দান
▶️ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান
▶️ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশে দান
▶️ ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান
▶️ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে অনুদান।
কর রেয়াত নিতে হলে রিটার্ন ফরমের সঙ্গে ২৪ডি তফসিল ফরম পূরণ করতে হবে।
সেখানে বিনিয়োগ বা দানের বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। ওই ফরমটি পূরণ করে বার্ষিক রিটার্নে সংযুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণ পত্রও দিতে হবে।
আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অধিক পরিমাণে আপনার পকেটে রাখতে চান? বিনিয়োগ-এর কর রেয়াত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন যা আপনাকে অনায়াসে আপনার রেয়াত সর্বাধিক করার লক্ষে আপনার আর্থিক পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।
আয়ের বিবরণ - বিভিন্ন উৎস থেকে করা আয় সহজেই ইনপুট করুন যা নিশ্চিৎ করবে যে প্রতিটি টাকার হিসাব সঠিকভাবে করা হয়েছে।
বিনিয়োগ ট্র্যাকিং - ব্যাংক থেকে শেয়ার সকল ক্ষেত্রে করা বিনিয়োগের প্রদান করুন।
আয়করের বিশদ বিবরণ - আয় ও কর সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রদান করুন। আমাদের ক্যালকুলেটর সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য রেয়াতের সুযোগগুলি উপস্থাপন করবে যাতে আপনার করের বোঝা হ্রাস হয়।
ডেটা অ্যানালিটিক্স - আপনার আয় এবং বিনিয়োগ দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ দেখুন যা আপনাকে সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে অবহিত করবে।
রেয়াত অর্জন - আপনার আয়কর রেয়াতের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত পন্থা আবিষ্কার করুন।