আইপিও (IPO) আবেদন করা এখন খুবই সহজ, ঘরে বসেই এখন আপনি বিও (BO) একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে আইপিও (IPO)র আবেদন, টাকা জমা ও উত্তোলন সহ সবই করতে পারবেন।
বর্তমান নিয়মে আইপিও (IPO) শেয়ার লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সমভাবে বন্টন করা হয়। অর্থাৎ, একজন বিনিয়োগকারী যদি সকল নিয়ম মেনে কোন আইপিও (IPO) তে এপ্লাই করে তাহলে অবশ্যই তিনি সেই কোম্পানীর বরাদ্দকৃত ন্যূনতম শেয়ার পাবেন।
আবেদনের শর্তাবলী,
আইপিও (IPO) আবেদন করার জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে তার বিও (BO) অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ম্যাচিউর ৫০ হাজার টাকার শেয়ার থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য চাঁদা জমা দিতে পারবেন। আইপিও (IPO) আবেদন শুরু হওয়ার ৫ কর্ম দিবস আগে শেয়ার ম্যাচিউরের কাট-অফ ডেট থাকে।
তাই কাট-অফ ডেটের অন্তত ২ দিন আগে আপনাকে ননূ্যতম ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে, কারন A/B/N ক্যাটাগরির শেয়ার ম্যাচিউর হতে T+2 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের দইু দিন মোট ৩ কর্ম দিবস সময় লাগে এবং Z ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে T+3 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের তিন দিন মোট ৪ কর্মদিবস সময় লাগে।
আবার কেউ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ার না কিনতে পারেন তবে আপনি কাট-অফ ডেটের ১ কর্ম দিবস আগে স্পটে শেয়ার কিনতে পারেন (যদি স্পটে তখন কোন কোম্পানীর শেয়ার কেনা-বেচা হয়)। স্পটে থাকা শেয়ার গুলি ম্যাচিউর হতে ১ কর্ম দিবস সময় লাগে।
কাট-অফ ডেটে তার শেয়ারের বাজার মূল্য অবশ্যই ৫০,০০০ টাকা থাকতে হবে এবং এর চেয়ে কম হলে তিনি আর আইপিও (IPO) আবেদনের জন্য এলিজেবল বা উপযুক্ত হবেননা।
কাট-অফ ডেটের পরে আপনি চাইলে আপনার শেয়ার বিক্রয় করে দিতে পারেন অথবা পরবর্তী আইপিও (IPO) তে অংশগ্রহনের জন্য রেখে দিতে পারেন। আগত সকল আইপিও (IPO)র জন্য এই একই নিয়ম প্রযোজ্য।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি,মনে করুন,
ABC কোম্পানির আইপিও (IPO) আবেদন শুরু হবে কোন মাসের ১৫ তারিখে, সুতরাং এইক্ষেত্রে উক্ত আইপিও (IPO)র জন্য কাট-অফ ডেট হবে ওই মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ ৫ কর্ম দিবসের আগ পর্যন্ত।
এখন আইপিও (IPO)র নতুন নিয়ম অনযায়ী ১০ তারিখে ৫০,০০০ টাকার বাজার মূল্যের ম্যাচিউর শেয়ার আপনার কোডে বা বিও (BO)একাউন্টে থাকতে হবে।
এখন আপনাকে ১০ তারিখে ম্যাচিউর শেয়ার রাখতে হলে অবশ্যই তার ২ কর্ম দিবস আগে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করতে হবে (A/B/N) ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে)।
যদি Z ক্যাটাগরির শেয়ার কেনা হয় তবে আপনাকে অন্তত কাটফ ডেটের ৪ কর্ম দিবস আগে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি স্পটে শেয়ার কিনেন তবে ৯ তারিখে যদি কর্ম দিবস থাকে সেই দিন শেয়ার কিনলে সেটা উল্লেখিত দিনে ম্যাচিউর হবে।
আমাদের পরামর্শ,
যেহেতু কাট-অফ ডেটে বাজার মল্যে সর্বনিম্মে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার থাকতে হবে সুতরাং গ্রাহকগন সম্ভব হলে যেন পঞ্চাশ হাজার এর কিছু বেশি মূল্যের শেয়ার ক্রয় করে। যেহেতু মার্কেট প্রতিনিয়তই আপ-ডাউন হয়ে থাকে তাই যেন শেয়ারের দাম কমে গেলেও সেটা কাট-অফ ডেটে ৫০,০০০ টাকার কম না হয়ে যায়।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহজ এবং লাভবান করার জন্য সকল ধরণের সুযোগ রয়েছে আপনার হাতের মুঠোয়।
পুঁজিবাজারে আপনার শেয়ার ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত সকল তথ্যের তাৎক্ষণিক হালনাগাদকৃত তথ্য।
ঘরে বসেই পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল আর্থিক লেনদেন নিরাপদভাবে সম্পন্ন করুন।
ঘরে বসেই ঝামেলামুক্ত ভাবে তাৎক্ষণিক শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করুন।
শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকাল এনালাইসিস সম্পর্কিত তথ্যের একত্রিত উপস্থাপনা।
আইপিও আবেদনকে সহজ করে তুলতে আমরা স্বয়ংক্রিয় আবেদন পদ্ধতি তৈরি করেছি যাতে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই সব আইপিও আবেদন করতে পারবেন।
আপনার এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন পুঁজিবাজার সম্পর্কিত সকল হালনাগাদকৃত তথ্য এবং অন্নান্য রিপোর্ট।
আপনার পোর্টফোলিওর একত্রিত উপস্থাপনা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, XYZ কোম্পানি সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার নিয়ে পুজিবাজারে আসবে। ধরি সেখানে যদি ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারি থাকেন এবং প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকাবিনিয়োগ করে আবেদন করেন।
তবে প্রত্যেক বিনিয়োগকারী পাবেন (১,০০,০০,০০০/১০,০০,০০০) = ১০ টি করে শেয়ার। যদি প্রতি শেয়ারের মূল্য হয় ১০টাকা করে তবে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ১০টি করে শেয়ারের মূল্য বাবদ
(১০*১০)= ১০০ টাকা ও ১০ টাকা আইপিও (IPO) সার্ভিস চার্জ কেটে রেখে বাকি {১০,০০০-(১০০+১০)}= ৯,৮৯০ টাকা বিনিয়োগকারীর বিও (BO) (BO) একাউন্টে জমা করা হবে।
যাচাইলে গ্রাহক উত্তোলন বা পরবর্তী আইপিও (IPO) আবেদনে পুনঃব্যবহার করতে পারবেন।