একটি কোম্পানির দায় দেনার অবস্থার নির্দেশক এটি। যেভাবে হিসেব করতে হয়-
ঋণ ইকুইটি = মোট ঋণ / মোট ইকুইটি
এটির হার বেশি হলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য তা প্রতিকুল বোঝায়। অর্থাৎ ঐ কোম্পানির শেয়ার না কেনাই উত্তম। অবে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ক্রয় করলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকুল হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। সাধারণত এর হার কম হলেই অনুকুল, তবে ঋণ নিয়ে কোম্পানি কোন লাভজনক খাতে তা ব্যবহার করেছে নাকি ধীর খাতের কোন প্রকল্পে ব্যবহার করেছে সেটিও বিবেচনা করতে হবে।
বিভিন্ন কারণে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার সময় ডেট ইকুইটি বা ঋণ ইকুইটি সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারন, এটি আপনাকে একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দিতে পারে। যদি একটি কোম্পানির অনেক ঋণ থেকে থাকে, তবে এটির ঋণে খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে বা ঋণ পরিশোধে তাদের অসুবিধা হতে পারে।
এর ফলে কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যেতে পারে এবং আপনার বিনিয়োগের মূল্য হারাতে পারে।
উপরন্তু, একটি কোম্পানির ঋণ ইকুইটি অনুপাত জানলে তা আপনাকে সে কোম্পানির ঝুঁকির স্তর মূল্যায়ন করতে সাহায্য করতে পারে। একটি কোম্পানির উচ্চ ঋণ অনুপাত সাধারণত বিনিয়োগকারীদের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বোঝায়, কারণ কোম্পানিটি তার আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে সক্ষম না হওয়ার ইংগিত দেয়।
বিপরীতভাবে, একটি নিম্ন ঋণ অনুপাত কম ঝুঁকি নির্দেশ করে এবং একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হতে পারে। অবশেষে, কখন স্টক কিনতে বা বিক্রি করতে হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে ঋণ ইক্যুইটি আপনাকে অনেকাংশে সহায়তা করতে পারে।