লভ্যাংশ আয় (Dividend Yield) কি?

বাংলাদেশের পুজিবাজারের প্রেক্ষাপটে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির গুরুত্ব সবসময়ই অনেক বেশি। কারন একটি ভাল কোম্পানি তাদের শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কখনোই ইচ্ছুক হতে পারেনা, তাই তারা সব সময় বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ হিসেবে ক্যাশ বা নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। আবার বাজারে এইসব কোম্পানির শেয়ারের দামের মধ্যে তারতম্য ও খুব বেশি থাকে না।

যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঝুকিমুক্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকেন তারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানি গুলোর দিকে বেশি দৃষ্টি রাখেন। এদের মধ্যে যেসব কোম্পানির Dividend Yield বেশি এবং প্রায় সবসময় ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমের দিকে আসলেই তারা তাদের পোর্টফলিওতে এই শেয়ার কিনে থাকেন। কারন কমদামে কিনতে পারলে ঈল্ড বেশি পাওয়া যাবে।

অপরদিকে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত খারাপ মৌল্ভিত্তিক কোম্পানি গুলো ক্যাশ ডিভিডেন্ডেরপরিবর্তে বিনিয়োগকারীদের স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে। তারা কোম্পানির  লাভের সম্পুর্ন অংশ কোম্পানি ফান্ডে রেখে দেয় পুনঃবিনিয়োগ করার জন্য। যেখানে কোম্পানির শেয়ারের ভ্যালুবৃদ্ধি হওয়ার কথা, সেখানে তাদের মার্কেটে ভ্যালু আরো কমে যায়। কারন এসব কোম্পানি গুলো এইটাকা গুলোকে ভালভাবে ব্যবহারকরতে পারেনা।

তাই,যেসব কোম্পানিগুলো ভাল লাভকরে এবং কোম্পানির গ্রোথের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের লাভের কিছু অংশ ক্যাশ হিসাবে দেয় এবং বেশিরভাগ অংশ পুঃণরায় ইনভেস্ট করে সেই সব কোম্পানির গ্রোথ রেটও ভাল থাকে এবং এসব কোম্পানির উপর ইনভেস্টোরদের আগ্রহও বেশি থাকে।


শেয়ার বাজারের মূল্য কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্যু মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে বিধায় লভ্যাংশ হার (rate of dividend) সত্যিকার আয় (real return) নির্দেশ করেনা। Dividend Yield ই শেয়ারের সঠিক return নির্দেশ করে, যা নিম্নোক্ত পন্থায় নির্ণয় করতে হয়-

লভ্যাংশ আয় = শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ড / প্রতি শেয়ারের বাজার মূল্য

ধরা যাক-ABC কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য ২৫ টাকা এবং যার ভেস ভ্যালু ১০ টাকা। কোম্পানিটি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একজন বিনিয়োগকারী যে দামেই শেয়ার কেনে-নাকেন তিনি প্রতি শেয়ারের জন্য ২ টাকা লভ্যাংশ পাবেন।  সেক্ষেত্রে-

লভ্যাংশ আয়= ২/২৫*১০০=৮%।