টাকা বা পুঁজি বিনিয়োগের একটি মাধ্যম হচ্ছে শেয়ার বাজার যাকে পুঁজি বাজারও বলা হয়ে থাকে। শেয়ার হচ্ছে কোম্পানি মালিকানার অংশ আর বাজার বলতে আমরা স্বাভাবিকভাবে যেমন কেনাবেচার স্থান বুঝি তেমনই একটা জায়গা।
শেয়ার বাজার হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে কোম্পানির মালিকানা স্টক এক্সচেঞ্জের কেনাবেচা করা হয়। যেকোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠন আয় বাড়ানোর জন্যই মূলত শেয়ার বিক্রি করে থাকে, আবার যে ব্যাক্তি শেয়ার কেনেন তিনিও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই কেনেন।
চারপাশে অনেকের ধারণা থেকে আপনার এমনটা মনে হতে পারে যে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। হাহা! আসলে বিষয়টি তেমন নয়। শেয়ার বাজারে দুইভাবে বিনিয়োগ করা যায়। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে দুই ধরনের মার্কেটের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব এবং মার্কেট ভেদে টাকার অংকে ভিন্নতা রয়েছে। নিচের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে ইন শা আল্লাহ!
প্রত্যেকটি কোম্পানির শেয়ারের একটা ফেস ভ্যালু থাকে সে অনুযায়ী প্রাইমারি মার্কেটে প্রবেশ করতে হলে নূন্যতম ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করা উত্তম। এর দ্বারা সরাসরি কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হওয়া যায়।
একটা কোম্পানি যখন তার শেয়ার মার্কেটে ছাড়ে তখন ফেস ভ্যালুর সাথে প্রিমিয়াম যোগ করে দেয়। যেমন- কোনো কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভ্যালু ৩০ টাকা এবং তারা ৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করে ৩০ টাকা।
সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অংকটা বেশি হয়ে থাকে। এখানে শুরুতেই ২০০০০ বা ৩০০০০ টাকা বিনিয়োগ করা শ্রেয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘Expected Rate of Return’’ উপর। তাই সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে।
শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলেই কেবল কারো শেয়ার বাজারে নামা উচিত । এছাড়া শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপডেট, অন্যান্য বিনিয়গকারীদের অভিজ্ঞতা, বিশ্লেষকদের আলোচনা থেকে সমৃদ্ধ হয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। আপনার জন্য রইলো অশেষ শুভকামনা!