স্টক মার্কেটে কখন প্রবেশ করতে হবে এবং প্রস্থান করতে হবে সেটা নির্ণয় করা লাভজনক লেনদেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ব্যাখ্যা করা হবে কিভাবে সহজ পদ্ধতি এবং জনপ্রিয় সূচক ব্যবহার করে মার্কেটে প্রবেশ এবং প্রস্থান পয়েন্ট সনাক্ত করতে হয়।
এন্ট্রি পয়েন্ট হল সেই মূল্য যা আপনি বিনিয়োগ করেন বা শেয়ার ক্রয় করেন। এর নির্ণয় প্রক্রিয়া হতে হবে মার্কেট পর্যবেক্ষণ, ট্রেডিং কৌশল, ঝুঁকি হ্রাস, মার্কেট সেন্টিমেন্ট, ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে। বিশ্লেষণ এবং গবেষণা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
প্রস্থান পয়েন্ট হলো সেই মূল্য যখন আপনি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য এবং ক্রয় মূল্যের পার্থক্য থেকে আপনার মুনাফা নিশ্চিত করতে পারছেন।
শীর্ষ প্রবেশ (এন্ট্রি) এবং প্রস্থান (এক্সিট) পয়েন্ট নির্ণায়ক সূচক প্রবেশ এবং প্রস্থান পয়েন্ট সনাক্ত করতে, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত টেকনিক্যাল সূচকের উপর নির্ভর করে।
১. মুভিং অ্যাভারেজ (Moving Averages): এই সূচকটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির ঐতিহাসিক মূল্য পরিবর্তনের গড় গণনা করে প্রবণতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
২. বোলিংজার ব্যান্ডস (Bollinger Bands): এই সূচক পূর্ববর্তী লেনদেনের সাথে কোম্পানির মূল্য তুলনা করে মার্কেটে এর দরের অস্থিরতা (volatility) নির্ণয় করে। এটি স্টক ট্রেডিংয়ের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।
৩. স্টোকাস্টিক অসিলেটর (Stochastic Oscillator): কোম্পানির দরের ধারা পরিবর্তন ইঙ্গিত করতে ব্যবহৃত। স্টোকাস্টিক অসিলেটর কোম্পনির অতিমূল্যায়িত এবং অতিবিক্রীত হওয়া মাত্রা চিহ্নিত করে।
৪. রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স (Relative Strength Index) (RSI): একটি বহুল ব্যবহৃত সূচক যা অতিরিক্ত ক্রয় এবং অতিবিক্রীত স্তর সনাক্ত করে। এছাড়া, এটি মার্কেটে একটি কোম্পানির শক্তিশালী বা দুর্বল অবস্থান নির্ণয় করে।
৫. এমএসিডি (MACD): এটি দরের নতুন প্রবণতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং লাভ সর্বাধিক করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও নির্ভুল প্রবেশ (এন্ট্রি) এবং প্রস্থান (এক্সিট) পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন, তবে এই সূচকগুলো ব্যবহার করে আপনার লেনদেনকে অধিক লাভজনক করা সম্ভব। পেপার ট্রেডিং ব্যবহার করে এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ণয় অনুশীলন করুন।