বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে গ্রামীনফোন এবং গ্রামীণ টেলিকমের অবদান বিশাল। ডক্টর ইউনুসের প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোক্রেডিট মডেলের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগিতায় গ্রামীনফোন দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। শেয়ার বাজারে গ্রামীনফোনের শেয়ারের অবস্থান, বিনিয়োগকারীদের জন্য এর প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব।
গ্রামীনফোন (Grameenphone) বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর। এটি ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে এবং দ্রুত দেশের প্রতিটি প্রান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা বিস্তার করে। গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগিতায় গ্রামীনফোন তাদের বিনিয়োগ ও পরিচালনায় শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।
গ্রামীনফোনের শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্তি ২০০৯ সালে, যা বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তাদের শেয়ার বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (CSE) লিস্টেড রয়েছে। বিস্তারিত শেয়ার মূল্যের জন্য দেখুন আমাদের লেটেস্ট শেয়ার প্রাইস পেজ।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীনফোনের অন্যতম প্রধান অংশীদার। ডক্টর ইউনুস গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি করেছেন। এটি গ্রামীনফোনের সাথে মিলিত হয়ে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রেখেছে।
গ্রামীণ টেলিকমের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রামের সাধারণ মানুষ। এর ফলে গ্রামের মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। ডক্টর ইউনুসের এই মডেল বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
গ্রামীনফোন বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি একটি টপ-রেটেড কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।
তাদের শেয়ারের দাম প্রতিদিনই পরিবর্তনশীল থাকে। শেয়ার বাজারের সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন মার্কেট ওভারভিউ পেজ।
গ্রামীণ টেলিকম একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করছে। এর টেকসই ব্যবসায়িক মডেল, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ভবিষ্যতে শেয়ার বাজারে আরও ভালো পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা তৈরি করছে।