টেকনিক্যাল এনালাইসিসে এমএসিডি বা ম্যাকডি (Moving Average Convergence-Divergence or MACD) একটি অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর। এই ইন্ডিকেটরে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করা হয়। সূচক বা কোন শেয়ার নতুন করে বুলিশ বা বিয়ারিশ ট্রেন্ডে প্রবেশ করার সময় অথবা ট্রেন্ডের কোন গুরুত্বপূর্ন পরিবর্তন হলে তা MACD এর মাধ্যমে জানা যায়। MACD ইন্ডিকেটরের সেটিংস এ আমরা সাধারণত তিনটি সংখ্যা লক্ষ্য করে থাকি।
• ১ম নম্বরটি হল সময়ের দ্রুততম মুভিং এভারেজ
• ২য় নম্বরটি হল সময়ের ধীর গতির মুভিং এভারেজ
• ৩য় নম্বরটি হল একটি বার চার্ট বা Histogram যেটি দ্রুত এবং ধীর গতির মুভিং এভারেজের পার্থক্য হিসেব করে থাকে।
উদাহরনস্বরূপ, আপনি যদি আপনার মুভিং এভারেজ টুলে “12, 26, 9” দেখে থাকেন তার মানে হচ্ছে
• 12 বুঝাবে, বিগত ১২ বার এর দ্রুততম (Faster) মুভিং এভারেজ।
• 26 বুঝাবে, বিগত ২৬ বার এর ধীর গতির (Slower) মুভিং এভারেজ।
• 9 বুঝাবে, বিগত ৯ বার এর Fast এবং Slow মুভিংএভারেজের পার্থক্য।
এটি একটি ভার্টিকাল লাইন দিয়ে তৈরি করা হয় বলা হয় হিস্টোগ্রাম (Histogram)। (নিচের চিত্রের সবুজ কালার এর লাইনগুলো)
১. জিরো লাইন
২. ম্যাকডি/এমএসিডি বা MACD লাইন
৩. সিগন্যাল লাইন
হিস্টোগ্রাম সহজে দ্রুতগতির এবং ধীরগতির মুভিং এভারেজের পার্থক্য এঁকে দেখায়। আমরা যদি আসল চার্টের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যখন দুইটি মুভিং এভারেজ আলাদা হয়ে যায় তখন হিস্টোগ্রাম বড় হতে থাকে। এটাকে বলা হয় Divergence তার কারন, দ্রুতগতির মুভিং এভারেজ ধীরগতির মুভিং এভারেজের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
যখন মুভিং এভারেজ দুইটি পরস্পর কাছাকাছি চলে আসে তখন হিস্টোগ্রাম ছোট হতে থাকে। এটাকে বলে Convergence, কারন দ্রুতগতির মুভিং এভারেজ ধীরগতির মুভিং এভারেজের কাছাকাছি চলে আসে।
মূলত এটাই হচ্ছে Moving Average Convergence Divergence বা সংক্ষেপে MACD। তবে MACD হল একটি ল্যাগিং ইন্ডিকেটর কারন এটি ঘটনা ঘটে যাবার পর কিছুটা দেরীতে সংকেত প্রদান করে থাকে।
১. সিগন্যাল লাইন ক্রস ওভারঃ যখন দ্রুতগতির লাইনটি দ্বিতীয় ধীরগতির সিগন্যাল লাইনকে উপর থেকে বা নিচ থেকে ক্রস করে।
২. জিরো লাইন ক্রস ওভারঃ যখন দ্রুত গতির লাইনটি জিরো লাইনের উপরে বা নিচে ক্রস করে
দ্রুতগতির লাইনটি যখন ধীরগতির লাইনকে ক্রস করে উপরে উঠবে তখন সেটাকে বাই সিগন্যাল এবং উপর থেকে নিচে ক্রস করলে সেটাকে সেল সিগন্যাল হিসেবে গন্য করা হয়ে থাকে।
MACD এর বুলিশ সিগন্যাল বোঝার তিনটি উপাদান হল-
১. পজিটিভ ডাইভারজেন্স
২. বুলিশ মুভিং এভারেজ ক্রস ওভার
৩. বুলিশ সেন্টারলাইন ক্রস ওভার
১. নেগেটিভ ডাইভারজেন্স
২. বেয়ারিশ মুভিং এভারেজ ক্রস ওভার
৩. বেয়ারিশ সেন্টারলাইন ক্রস ওভার।