প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ হল এমন একটি পদ্ধতি যা বিনিয়োগকারীরা চার্ট প্যাটার্ন অধ্যয়ন করে স্টক মূল্য বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করে। যদিও এটি স্বল্পমেয়াদী আন্দোলনের পূর্বাভাস দিতে সহায়ক হতে পারে, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।
▶️ টেকনিক্যাল এনালাইসিসসব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নাও দিতে পারে। কারন এটি একধরনের অনুমান, আর এই অনুমান কখনোই১০০% নিশ্চিত নয়।
▶️ টেকনিক্যাল এনালাইসিসবিভিন্ন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে এন্ট্রি টাইম নির্দিষ্ট করে থাকে যা অনেক সময় ঠিকমতোকাজ করে না।
▶️ এই এনালাইসিস প্রক্রিয়ায়বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় কোন ইন্ডিকেটর বাই সিগনালদিচ্ছে আবার একই সময়ে অন্য কোন ইন্ডিকেটর সেল সিগনাল দিচ্ছে। এতে করে একধরনের সিদ্ধান্তহীনতারসৃষ্টি হয় যা অনেক বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভ্রান্তিকর।
▶ কজন বিনিয়োগকারীরটেকনিক্যাল এনালাইসিস একেকরকম হতে পারে। এরকমও দেখা যায় যে একজন বিনিয়োগকারী তার এনালাইসিসথেকে শেয়ার বাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবার আরেকজন বিনিয়োগকারী সে সময় তার এনালাইসিসঅনুযায়ী সেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ট্রেড থেকে কে কত টুকু লাভ বের করতেপারবে তা নির্ভর করবে যার যার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের দক্ষতার উপর।
একজন বিনিয়োগকারীকে মার্কেটের ট্রেন্ড বুঝতে ও সঠিক সময়েএন্ট্রি পয়েন্ট ও এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারন করতে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের স্মরনাপন্ন হতেহয়। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ম সময়ে সর্বোচ্চ মুনাফার্জনের জন্য ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসেরপাশাপাশি টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
টেকনিক্যালএনালাইসিস প্রধানত ৩টি অংশ নিয়ে গঠিত হয়-
১/ টেকনিক্যালইন্ডিকেটর (Technical Indicator)
২/ ক্যান্ডেলিস্টিকপ্যাটার্ন (Candlestick Pattern)
৩/ চার্টপ্যাটার্ন (Chart Pattern)
আজকেআমরা সংক্ষেপে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের এই অংশগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।