শেয়ারের প্রাইজ যদি দীর্ঘদিন একটি রেঞ্জের ভিতর উঠানামা করতে থাকে তাহলে বোলিঞ্জার ব্যান্ডটি সংকুচিত হয়ে আসে। সংকুচিত হয়ে থাকা বোলিঞ্জার ব্যান্ড থেকে যে কোন সময় প্রাইজ আপার বা লোয়ার ব্যান্ড ভেঙে উপরে বা নিচে নেমে যায়। এটিকে ব্রেক আউট (Break Out) বা ব্রেক ডাউন (Break Down) বলা হয়।
ব্রেক আউট হবার পর বাজার দর বৃদ্ধি পেতে থাকে আবার ব্রেক ডাউন হবার পর বাজার দর ক্রমাগত কমতেও দেখা যায়। মূলত এভাবেই বোলিঞ্জার স্কুইজ কাজ করে। এছাড়াও, Bollinger Bands ব্যবহার করে আরও কিছু করতে পারেবেন কিন্তু এগুলোর মধ্যে উপরেল্লিখিত দুইটি কৌশল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশী ব্যাবহার করা হয়।
বোলিঞ্জার স্কুইজ হল জন বোলিঞ্জার দ্বারা তৈরি একটি প্রযুক্তিগত নির্দেশক যা স্টক মার্কেটে অতিরিক্ত মূল্যায়নের সময়কাল চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। সূচকটি দুটি লাইন দেখায়: উপরের লাইনটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্টকের গড় মূল্যকে উপস্থাপন করে, যখন নীচের লাইনটি মূল্যের মানক বিচ্যুতিকে উপস্থাপন করে।
যখন গড় মূল্য নিম্ন রেখার নিচে নেমে আসে, যা ইঙ্গিত করে যে দামগুলি খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে, এবং যখন আদর্শ বিচ্যুতি একটি উচ্চ স্তরে পৌঁছায়, একটি অতিমূল্যায়িত বাজার নির্দেশ করে, তখন স্টক বিক্রি করার সময়। কখন স্টক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তা জানা কঠিন হতে পারে, কিন্তু বোলিঞ্জার স্কুইজ ব্যবহার করা এই সিদ্ধান্তকে সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।