আমরা অনেকেই আয়কর সম্পর্কে জানি। আয়কর হচ্ছে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আয়ের উপর কর। অনেককেই দেখা যায় আয়কর এবং আয়কর রিটার্নকে একই মনে করেন। এটি ভুল একটি ধারণা। চিন্তার কিছু নেই, আজকের এই লেখায় আমরা আয়কর রিটার্ন সম্পর্কে জানব। এছাড়া কিভাবে দিতে হয় এটা জানার পাশাপাশি কারা এটি দেবে তাও জানতে পারবো!
আয়কর রিটার্ন হচ্ছে বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণী। সরকার কর্তক নির্ধারিত একটি কাঠামোবদ্ধ ফরমে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য উপস্থাপন করার নামই হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। এই কাঠামোবদ্ধ ফরমটি আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তুত করে।
আয়কর আইন অনুযায়ী এই নির্ধারিত ফর্ম আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। এই ফর্মটি মূলত নির্ধারিত আয়ের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য তাদের করযোগ্য আয়ের হিসাব এবং মোট কর দায় বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে।
আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্নের কাঠামে আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
আয়কর রিটার্ন কিভাবে দিতে হয় জানার আগে আমরা জানব আয়কর রিটার্ন দেয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি কারা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে রিটার্ন দাখিল করা আর আয়কর পরিশোধ করা দুটি এক জিনিস নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেবার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
● সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয় যদি বছরে ৩,০০,০০০ টাকার বেশি হলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে
● মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৩,৫০,০০০
● প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে বছরে ৪,০০,০০০ টাকা আয় সীমা এবং
● গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা