কিভাবে আয়কর রিটার্ন দিতে হয়?

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি টিআইএন রয়েছে তারাই আয়কর রিটার্ন দাখিল করবে। যাদের টিআইএন নেই তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে এটি খুলে নিতে পারবে। সব আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন ফরম বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd থেকে আয়কর রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করা যায়। আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো-

● নতুন করদাতা হলে, একটি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি (প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা বা যেকোন টিআইএনধারী কর্তৃক সত্যায়িত। প্রতি ৫ বছর পর পর ব্যক্তি করদাতাকে তার সত্যায়িত ছবি রিটার্নের সাথে জমা দিতে হবে)

● জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

● ই-টিআইএন এর কপি

● অতিরিক্ত কর পরিশোধের সমর্থনে চালান/ পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট এর কপি

● বেতন বিবরণী

● যদি কোন সঞ্চয়পত্র থাকে তবে তার মুনাফার বিবরণী

● কোন বিনিয়োগ থেকে থাকলে তার স্বপক্ষে দলিলাদি

● অন্যান্য কোন সম্পত্তি থাকলে তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিল

● বিগত আয় বছরে যদি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকে তাহলে এর প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের কপি।

আপনি চাইলে অনলাইনেও আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো-

➢ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে E-TIN অপশনে যেতে হবে

➢ E-TIN অপশনে গিয়ে TIN নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং একটি ক্যাপচা কোড আসবে তা দিতে হবে

➢ এরপর আপনার মোবাইলে ছয় ডিজিটেরর একটি ভেরিফিকাশন কোড আসবে তা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য পাসওয়ার্ড দিতে হবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে  

➢ ই-রিটার্নের পেজ আসলে সেখান থেকে রিটার্ন সাবমিশন ঘরে ক্লিক করতে হবে

➢ এখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পৃষ্ঠাগুলো পূরন করতে হবে। তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে করদাতার প্রয়োজনীয় তথ্যের সার সংক্ষেপ দেখান হবে। সার সংক্ষেপ অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে ‘View Return’ বাটনে ক্লিক করতে হবে

➢ এরপর রিটার্ন ফর্মটি পূরণ অবস্থায় দেখানো হবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে ‘Verification’ এর ঘরে থাকা ছোট বক্সটিতে টিক দিতে হবে এবং ‘Submit Return’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এভাবে আয়কর রিটার্ন সফলভাবে অনলাইনে দাখিল করা হয়ে যাবে। এরপর আয়কর রিটার্ন  জমাদানকারীকে একটি কপি দেয়া হবে। কেউ চাইলে এটি ডাউনলোড করে, প্রিন্ট করে রাখতে পারবেন।

শেষকথা

সচেতন নাগরিক হিসেবে করের আওতায় প্রত্যেকের উচিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা। করের বাধ্যবাধকতা নির্ধারণের জন্য করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। এটি জটিল কোন বিষয় নয়। তবে রিটার্ন দাখিলের সময় কিছু বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।