বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করছে। সেভিংস সার্টিফিকেট অর্থ সাশ্রয়ের একটি নিরাপদ ও নিরাপদ উপায়। এগুলি বাংলাদেশের সমস্ত পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কে পাওয়া যায়। সরকার বিভিন্ন ধরনের সেভিংস সার্টিফিকেট অফার করে, যার প্রতিটিতে বিভিন্ন সুদের হার এবং শর্ত থাকে। একটি সঞ্চয় শংসাপত্রে বিনিয়োগ আপনার ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করার একটি স্মার্ট উপায়।
১. পাঁচ-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
২. তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
৩. পরিবার সঞ্চয়পত্র
৪. পেনশনার সঞ্চয়পত্র
উক্ত চার ধরনের সঞ্চয়পত্র একই রকম সুদ প্রদান করে না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
▶️ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো সঞ্চয়পত্র এটি যা ১৯৭৭ সালে চালু করা হয়। দেশের যে কোনো নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতেপারবে।
▶️ এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদ শেষে ১১.২৮%
▶️ বাজারে বর্তমানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা মূল্যের বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়।
▶️ কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
▶️ তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এর কোনো সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
▶️ এটি চালু করা হয় ১৯৯৮ সালে।
▶️ এটি ১ লাখ, ২লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পাওয়া যায়।
▶️ বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ন্যায় এটিও সকলে কিনতে পারে।
▶️ এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১.০৪%
▶️ এটি একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকাও যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়।
▶️ এই সঞ্চয়পত্র ২০০৯ সালে প্রচলন করা হয়।
▶️ এটি একটি পাঁচবছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র।
▶️ এই সঞ্চয়পত্র থেকে মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা নেয়ার সুযোগ আছে।
▶️ মেয়াদ শেষে এর মুনাফার হার ১১.৫২%
▶️ এই সঞ্চয়পত্র টি ১০হাজার, ২০হাজার, ৫০হাজার, ১লাখ, ২লাখ, ৫লাখ ও ১০ লাখ মূল্যমানে বিক্রয় করা হয়।
▶️ এই সঞ্চয়পত্রটি কেবল ১৮ বা তার বেশি বয়সী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ৬৫ উর্ধ্ব যে কোনো নারী ও পুরুষ কিনতে পারবেন।
▶️ এক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
▶️ এটি ২০০৪ সালে এটি চালু করা হয়।
▶️ এটিও একটি পাঁচবছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র।
▶️ মেয়াদ শেষে এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার হয় ১১.৭৬%
▶️ এই সঞ্চয়পত্র ৫০ হাজার, ১ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পাওয়া যায়।
▶️ এই সঞ্চয়পত্র থেকে তিন মাস অন্তর মুনাফা নেয়া যায়।
▶️ এই সঞ্চয়পত্র শুধু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরা কিনতে পারবেন।
উপরোক্ত সঞ্চয়পত্র গুলো ছাড়াও "ডাকঘর সঞ্চয়পত্র" নামেও একটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে যা শুধুমাত্র ডাকঘর থেকেই নেয়া যায়। যে কেউ এটি কিনতে পারেন।
মূলত ৪ টি প্রতিষ্ঠান হতে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো হলো :-
১. বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিস (সদরঘাট এবং ময়মনসিংহ অফিস ব্যতীত)
২. শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ব্যতীত সকল তফসিলি ব্যাংক
৩. বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে সকল সঞ্চয় ব্যুরো অফিস
৪. ডাকঘর সমূহে