বিও (BO) একাউন্ট কি?

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো (BO) একাউন্ট খোলা, আপনি চাইলে ৩টি সহজ উপায়ে একটি BO অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং এমনকি চাইলে ঘরে বসেই সেটি করতে পারবেন। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি চাইলে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু করতে পারেন বা আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিও (BO) একাউন্ট কি?

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হল একটি বিও (BO) একাউন্ট (BO Account) বা Beneficiary Owner’s Account খোলা। ব্যাংকে অর্থ বা টাকা জমা ও উত্তোলন তথা হিসাব পরিচালনার জন্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট খোলা বাধ্যতামলকূ তেমনি শেয়ার কেনা বেচা করার জন্যও একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক।

একটি বিও (BO) অ্যাকাউন্ট আদতে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতই, তবে এটি খোলার জন্য আপনাকে একটি ব্রোকার হাউজের দ্বারস্থ হতে হবে। আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন তবে তা শুধুমাত্রই শেয়ার কেনা বেচার উদ্দেশ্যে ।

বিও (BO) একাউন্ট

বিও একাউন্ট সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

 

১. সাধারন বিও একাউন্ট:

বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। সাধারন বিও একাউন্ট আবার তিন ধরনের হয়-

* একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারীর নিজের নামে বিও একাউন্ট বা Individual BO Account)।
* যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তির সম্মিলিত বিও একাউন্ট বা Joint BO Account)।
* কোম্পানি বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন)।

 
২. এনআরবি বিও একাউন্ট (নন-রেসিডেন্টবাংলাদেশী):

প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।


এছাড়াও অন্য এক ধরনের একাউন্ট রয়েছে যা লিংক বিও একাউন্ট নামে পরিচিত। আপনার বর্তমান ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কোন শেয়ার বিক্রি না করে লিংক বিও একাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজের একই গ্রাহকের বিও একাউন্টে শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য লিংক বিওএকাউন্ট খোলা হয়।