বন্ড হচ্ছে এক ধরণের ঋনপত্র বা ঋণচুক্তি। এ ঋণপত্র ছেড়ে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। স্টক এক্সচেঞ্চে তালিকাভূক্ত অথবা তালিকা-বহির্ভূত কোন কোম্পানি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদনক্রমে বাজারে ঋণপত্র ছেড়ে তার বিপরীতে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে কোম্পানির আয় হোক বা না হোক বন্ড হোল্ডারদেরকে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে সুদ বা কুপন দিতেই হবে।
১. সাধারন শেয়ার হচ্ছে কোম্পানির মালিকানার অংশ এবং বন্ড হচ্ছে ঋণ চুক্ত।
২. কোম্পানি লাভ করলে শেয়ার হোল্ডাররা ডিভিডেন্ড পাবে কিন্তু লস হলে পাবে না, অন্যদিকে কোম্পানির লাভ হোক বা লস হোক বন্ড হোল্ডারকে চুক্তি অনুযায়ী সুদ বা কুপন দিতেই হবে।
৩. বন্ডের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে, মেয়াদ শেষ হলে বন্ড হোল্ডাররা ঋণকৃত সম্পুর্ন টাকা ফেরত পাবেন। সাধারন শেয়ার হোল্ডাররা কোন টাকা ফেরত পাবেন না।
৪. বন্ডে বিনিয়োগ অধিক নিরাপদ কিন্তু আয় নির্দিষ্ট ও সীমিত। অন্যদিকে সাধারন শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের আয়ের পরিমান নির্দিষ্ট থাকে না। সাধারন শেয়ারে বিনিয়োগ অধিক ঝুকিপুর্ন কারন আয় হলে ডিভিডেন্ড পাবে, আয় না হলে ডিভিডেন্ড পাবে না।
৫. সাধারন শেয়ার যে কোন সময় বিক্রি করা যায় কিন্তু বন্ড যে কোন সময় বিক্রি করা যায় না। কারন বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট খুব বেশি পরিচিত না।
উন্নত দেশগুলোতে বন্ড যতটা জনপ্রিয় বাংলাদেশ শেয়ার মার্কেটে বন্ড ততটা জনপ্রিয় নয় কারন আমাদের দেশে বন্ড মার্কেট এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। বন্ড মার্কেটে বায়ার সেলার খুবই কম থাকে, তাই প্রয়োজনে বন্ড সাথে সাথে বিক্রি করা নাও যেতে পারে। যার জন্য বিনিয়োগকারীগন বন্ড কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না। বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বর্তমানে ৭ টি বন্ড রয়েছে। আশা করা যায় সামনে ভালো কোম্পানিগুলো বন্ডের মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলতে আরো আগ্রহী হবে। দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগের জন্য বন্ড হচ্ছে আদর্শ।
নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য পোর্টফোলিওতে শেয়ার এবং বন্ড উভয় রাখাই বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোত্তম পন্থা।