শেয়ার মার্কেটে পতন থেকে বাঁচার উপায় কি?

অনেককেই দেখা যায় শেয়ারবাজার নিম্নমুখী দেখে হতাশায় আক্রান্ত হতে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এখানে প্রত্যেকেরই লগ্নি থাকে এবং লাভের আশা থাকে। তাই যখনই  শেয়ারের দরের পতন হয় তখনই দেখা যায় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে নানা দুশ্চিন্তা ভর করে। যারা শেয়ারের পতন দেখে ভড়কে যান তাদের জন্য নিচে দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি বাতলে দেওয়া হলো।

পদ্ধতি- ১

এভারেজিং:

যথাসম্ভব পোর্টফোলিও ছোট রাখুন। অর্থাৎ, একটি পোর্টফোলিওতে অনেক রকম কোম্পানির শেয়ার না রেখে যতটা সম্ভব কম কোম্পানির শেয়ার রাখুন। পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ কম হলে অর্থাৎ ৩ লাখের কম হলে ১৫%-২০% আর বড় হলে ২৫%-৩০% টাকা ক্যাশ

হিসেবে বিও একেউন্টে রাখবেন। যখন দেখবেন যে আপনার শেয়ারের দাম কমছে তখন চোখ রাখুন, লস ১০% টপকালেই আপনাকে কিছু একটা করতে হবে। যদি আপনি এভারেজিং করতে চান তবে মার্কেটের অবস্থা বুঝে ক্যাশ টাকা থেকে একই শেয়ার কম দামে আবার কিনুন যাতে গড় দাম কমে আসে।

একবারে না কিনে ছোট ছোট লট আকারে কিনুন যাতে করে অন্তত লোকশানের পরিমান কমে আসে।

একটা ব্যাপার লক্ষ করবেন যে ডাউন মার্কেটেও দু’একদিনের জন্য আপনার শেয়ারের দাম বেশ বাড়ছে-কমছে, ঠিক তখন ওই দিনের দাম যদি আপনার আগে কেনা কোনো লটের দামের চেয়ে ৫% বা তার বেশি হয় তবে বেচে দিন, দাম আগের স্থানে এলে আবার কিনুন। এভাবে এভারেজিং করে করে বেশি দামে কেনা শেয়ারের দাম কমিয়ে আনা যায়।

তবে এক্ষেত্রে বাই-সেলের কমিশনটাও হিসেব করুন, যাতে কমিশনের অংকটি আপনার লসের কাতারে না পড়ে।

পদ্ধতি- ২

নেটিং:

ধরুন আপনার কোনো ক্যাশ নেই তখন আপনাকে করতে হবে নেটিং। বেশি ওঠা-নামা করে এমন শেয়ারের জন্য এটি আদর্শ পদ্ধতি। ধরুন সকালে যার দাম ১০ টাকা অনেক সময় বিকালেই তা ১৩ টাকায় চলে আসে আবার সকালে যা ৩০ টাকা দিন শেষে তা ২৫ টাকায় নামে। এমন হলে একই দিনে কম দামে ২-৩ লট কিনুন এবং বেশি দামে হাতে থাকা ২-১ লট বেচে দিন। কেনা-বেচা করে গড় দাম কমিয়ে আনুন।

শেষের পদ্ধতিটা বেশ রিস্কি। যখন দেখবেন কোন শেয়ারে আপনার লস ১৫% ক্রস করেছে তখন তা দ্রুত বেচে ফেলুন এবং কম দামে তুলনামূলক ভালো ও  লাভ হবার সম্ভাবনা আছে এমন শেয়ার কিনে মার্কেট আপওয়ার্ড হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন, যাতে আপনি ১৫% লস কাটিয়েও লাভের মুখ দেখতে পারবেন।