আপনি কি জানেন সঞ্চয়পত্র দেশের সবচেয়ে নিরাপদ সহজ বিনিয়োগ মাধ্যম!

অর্থ বিনিয়োগের নির্ঝঞ্ঝাট ও ঝুকিমুক্ত মাধ্যম হলো সঞ্চয়পত্র।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার সমাধান

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহজ এবং লাভবান করার জন্য সকল ধরণের সুযোগ রয়েছে আপনার হাতের মুঠোয়।

ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও

পুঁজিবাজারে আপনার শেয়ার ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত সকল তথ্যের তাৎক্ষণিক হালনাগাদকৃত তথ্য।

অনলাইন আর্থিক লেনদেন

ঘরে বসেই পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল আর্থিক লেনদেন নিরাপদভাবে সম্পন্ন করুন।

অনলাইন শেয়ার লেনদেন

ঘরে বসেই ঝামেলামুক্ত ভাবে তাৎক্ষণিক শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করুন।

ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকাল এনালাইসিস

শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকাল এনালাইসিস সম্পর্কিত তথ্যের একত্রিত উপস্থাপনা।

স্বয়ংক্রিয় আইপিও আবেদন

আইপিও আবেদনকে সহজ করে তুলতে আমরা স্বয়ংক্রিয় আবেদন পদ্ধতি তৈরি করেছি যাতে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই সব আইপিও আবেদন করতে পারবেন।

স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞপ্তি এবং রিপোর্টিং

আপনার এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন পুঁজিবাজার সম্পর্কিত সকল হালনাগাদকৃত তথ্য এবং অন্নান্য রিপোর্ট।

ডাইনামিক ড্যাশবোর্ড

আপনার পোর্টফোলিওর একত্রিত উপস্থাপনা।

বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রের ইতিহাস

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জাতীয় সঞ্চয়ের কার্যক্রম তদানীন্তন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়।  

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তারপর র্দীঘ ৪২ বছর পর জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধিনস্থ একটি অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রের বিদ্যমান স্কীমসমূহ


সঞ্চয়পত্রের মূল্যমানঃ ১০ টাকা; ৫০ টাকা;  ১০০ টাকা;  ৫০০ টাকা;  ১,০০০ টাকা; ৫,০০০ টাকা;  ১০,০০০ টাকা;  ২৫,০০০ টাকা;  
৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা;  ৫,০০,০০০ টাকা;  ১০,০০,০০০ টাকা; ২৫,০০,০০০ টাকা।

যেখানে পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা সমূহ, তফসিলি ব্যাংক সমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও
নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।

মুনাফার হারঃ


যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ
 
(ক) সকল শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক;    

(খ) আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ (অংশ-২) এর বিধি ৪৯-এর উপ-বিধি (২) এ সংজ্ঞায়িত স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল এবং ভবিষ্যত তহবিল আইন,
১৯২৫ (১৯২৫ এর ১৯ নং) অনুযায়ী পরিচালিত ভবিষ্যত তহবিল;

(গ) আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৬ষ্ঠ তফসিল এর পার্ট এ এর অনুচ্ছেদ ৩৪ অনুযায়ী মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, পেলিটেড
পোল্ট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার,
ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ হতে
অর্জিত আয়-যা সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত।

ক্রয়েরঊর্ধ্বসীমাঃ

(ক) ব্যক্তির ক্ষেত্রেঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ;    
(খ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ ঊর্ধ্বসীমা নেই।


সঞ্চয়পত্রের মূল্যমানঃ
১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ ও ১০,০০,০০০ টাকা।

যেখানে পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা সমূহ বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদঃ ৩ (তিন) বছর।

মুনাফার হারঃ


যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ

সকল শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশী নাগরিক এবং অটিস্টিকদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ অন্য যে কোন অটিস্টিক সহযোগি প্রতিষ্ঠান (যাদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অটিস্টিকদের সহায়তায় অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে) যা সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত।

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) লক্ষ টাকা।


সঞ্চয়পত্রের মূল্যমানঃ
১০,০০০ টাকা;  ২০,০০০ টাকা;  ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা;  ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।

যেখানে পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা সমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।

মুনাফা হারঃ


যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ

(ক) ১৮ (আঠার) ও তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন বাংলাদেশী মহিলা,
(খ) যে কোন বাংলাদেশী শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা) এবং
(গ) ৬৫ (পঁয়ষট্টি) ও তদুর্ধ্ব যে কোন বাংলাদেশী (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লক্ষ টাকা।


সঞ্চয়পত্রের মূল্যমানঃ
৫০,০০০ টাকা;  ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা;  ৫,০০,০০০ ও ১০,০০,০০০ টাকা।

যেখানে পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা সমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।

মুনাফা হারঃ


যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ


অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকুরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তান।

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা তবে আনুতোষিক ও সর্বশেষ ভবিষ্য তহবিল হতে প্রাপ্ত অর্থের বেশী নয়।